বাজেটে শুল্ক কমছে সোনা রুপোয়

বাজেট পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন সোনা রুপার উপর আমদানি শুল্ক যুক্তিসম্মত করে আগের মতো অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হবে। এর ফলে সোনা রুপোর দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

নির্মলা সীতারামন জানান, বর্তমানে সোনার উপর আমদানি শুল্কের হার ১২.৫ শতাংশ। যেহেতু ২০১৯ সালের জুলাই মাসের পরে এই শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল, তখন তা ছিল ১০ শতাংশ হারে। এরপর এই দামী ধাতুর দাম বাড়তেই দেখা গিয়েছে। এবার এর দাম আগের স্তরের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সোনা এবং রুপোর উপর এই আমদানি শুল্ক যুক্তিসংগত করতে চেয়েছেন।

এজন্য এবারে সোনা এবং রুপোর উপর আমদানি শুল্ক ১২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে সোনার বার এবং রুপোর বারের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক হচ্ছে যথাক্রমে ৬.৯ এবং ৬.১ শতাংশ। যেখানে আগে এদের ক্ষেত্রে শুল্কের হার ছিল যথাক্রমে ১১.৮৫ এবং ১১ শতাংশ। তবে এই তিনটির উপরেই কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন সেস বসছে ২.৫ শতাংশ হারে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে। তাঁর বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরেই এই আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি তারা করে আসছিলেন। তাদের যুক্তি, যেভাবে শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল তাতে সোনা চোরাচালান বেড়ে যাচ্ছিল। এর ফলে কেন্দ্র এবং রাজ্য তাদের ন্যায্য কর আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। শুল্ক এবং সেস সব কিছু ধরলে তাঁর হিসেব অনুসারে আগে যেখানে ১২.৫ শতাংশ দিতে হতো সেখানে এবার ১০.৭৫ শতাংশ দিতে হবে। তিনি আশা করছেন. এতে সোনার দাম কমবে। আগামীকাল থেকে এর প্রভাবটা ভালোভাবে বোঝা যাবে বলে মনে করছেন তিনি।

সম্প্রতি সোনার চাহিদা কমেছে এদেশে। ২০২০ সালে সোনার চাহিদা ৩৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালে ৬৯০.৪ টন সোনা ব্যবহার করা হয়েছিল যেখানে ২০২০ সালে সেই অংকটা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৪৪৬.৪ টনে। শুধু সোনা বলে নয় সামগ্রিকভাবে অলংকার শিল্পে চাহিদা কমে যায় ৫৪৪.৬ টন থেকে ৩১৫.৯টনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.