বর্ষশেষের রাতে ভিড়ের রাশ টানতে নির্দেশ মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে

সামনেই নতুন বছর। শুরু কাউন্টডাউন। বর্ষশেষের রাতে প্রত্যেকবছরই বিপুল মানুষের সমাগম ঘটে পার্ক স্ট্রিট সহ বিভিন্ন এলাকায়। এই বছরও তার অন্যথা হবে না। করোনা পরিস্থিতিতেও ভিড় হতে পারে পার্কস্ট্রিট সহ বিভিন্ন জায়গায়। আর সেই ভিড়ের রাশ টানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে।

শুধু তাই নয়, লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা, তার উপরও নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বছর শেষ হলেও এখন করোনার হাত থেকে রেহাই মেলেনি। কার্যত প্রত্যেকদিনই সংক্রমণ বেড়ে চলছেই। এই অবস্থায় বর্ষবরণের রাতেও শারদোৎসবের মতো সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত এহেন নির্দেশ জানিয়েছে।

ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে আরও জানিয়েছে যে, বর্ষবরণের রাতে পার্ক স্ট্রিট-সহ অন্যান্য জায়গায় ভিড়ে রাশ টানতে হবে। কোথাও যাতে বাড়তি ভিড় বা জমায়েত না হয়, তার উপর নজর দিতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে। পার্ক স্ট্রিট-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে চেক পোস্ট তৈরি করে নজরদারি চালাতে হবে। ভিড় মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে হবে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে।

দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে হাইকোর্ট এদিন আরও নির্দেশ দিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালন করতে হবে বর্ষবরণ। লোকজন মাস্ক, স্যানিটাইজার ঠিকমতো ব্যবহার করছে কিনা, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর সময় জমায়েত ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনেকেই। মামলা-পালটা মামল দায়ের হয়। যদিও দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে আদালত দুর্গা পুজো করার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশিকা বেঁধে দেয়। সেই গাইডলাইন মেনে পুজো হয়।

সেই মতো কালীপুজোতেও গাইড লাইন তৈরি করে দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর নির্দেশিকাতে সাফ জানিয়ে দেয় যে, কোনও মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করা যাবে না। বিশেষত কালীপুজোর সময়ে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু গত ২৫ ডিসেম্বর সমস্ত জায়গায় ব্যাপক ভিড় হয়।

শহরের বিভিন্ন পার্ক থেকে শুরু করে পার্কস্টিটে উপচে পড়ে ভিড়। অনেককেই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়ান। ফলে প্রশ্ন উঠতে থাকে যে করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে জমায়েত তা নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন।

প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠতে থাকে প্রশ্ন। এই অবস্থায় মামলা হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে আদালত বর্ষবরণের রাতেও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.