যে শহর থেকে করোনা ভাইরাস (corona virus) ছড়িয়েছে বলে জানা যায়, সেখানকার ল্যাবরেটরির কথা এত দিনে বিশ্বের প্রায় সকলেই জানেন। উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি তে (Institute of Virology) এই ধরনের মারণ ভাইরাস নিয়ে গবেষণা হয়। সেই গবেষণাগার থেকে লিক হয়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, এমন অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা সহ একাধিক দেশ।
চিনের উহান প্রদেশের ভায়রোলজি ইনস্টিটিউউটের পরীক্ষাগারে করোনা ভাইরাস ছিল বলে জানিয়েছেন ডিরেক্টর ওয়াং ইয়েনি। তবে কোভিড-১৯-এর সঙ্গে ওই করোনাভাইরাসের কোনও মিল নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
চিনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে উহানের ওই ল্যাবরেটরির ডিরেক্টরের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হয় শনিবার। সেখানেই তিনি একথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাদুড়ের শরীর থেকে জীবন্ত স্টেইন নিয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন। এখনও উহানের ল্যাবে বাদুড়ের তিনটি লাইভ স্টেইন রয়েছে। তাতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতিও রয়েছে। তবে এর সঙ্গে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-র বিন্দুমাত্র মিল নেই।
উহানের ডিরেক্টর এবং তাঁর এক সহকারী গবেষক ছিলেন ওই সাক্ষাৎকারে। তাঁরা ব্যাখ্যা করে বলেন, সার্স কোভিড-২ এর সঙ্গে লাইভ স্টেইনে থাকা করোনাভাইরাসের প্রায় ৮০ শতাংশ গঠনগত মিল রয়েছে। তবে যে ভাইরাসে এখন সাড়া বিশ্ব ছেয়ে গিয়েছে তার কোনও মিল নেই।
গত ডিসেম্বরে প্রথম কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছিল চিনের উহান প্রদেশে। তারপর চিনকে পর্যুদস্ত করে সারা পৃথিবীতে ছেয়ে গিয়েছে মারণ ভাইরাস। মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো এবে করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী করেন চিনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি এই ভাইরাসকে চাইনিজ ভাইরাস বলে তোপ দাগেনমার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পিও বলেন, উহানের ল্যাব থেকেই যে কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে তার ভুড়ি ভুড়ি প্রমাণ রয়েছে ওয়াশিংটনের কাছে। এমনকি তিনি এও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন কোভিডের উৎস খুঁজতে চিনে গুপ্তচর নিয়োগ করবে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কোনও প্রমাণ নেই। যদিও উহানের ল্যাবের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ২০০৪ সাল থেকে করোনাভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তিনি এও বলেন, গত বছর ৩০ ডিসেম্বর অজানা ভাইরাসের প্রথম হদিশ মেলে। ২ জানুয়ারি তার জিনের গঠন করে ১১ জানুয়ারি হু-এর হাতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তুলে দেওয়া