বাংলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বোঝাতে বেলুড় মঠের স্মৃতি তুলে ধরলেন মোদি। ব্রিগেডে তিনি বলেন, বাংলার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তিনি বলেন, স্বামী আত্মানন্দ মহারাজের ছাত্র ছিলাম আমি। যদিও উনি আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। তবে ওনার আর্শিবাদ ছাড়া আমি চলতে পারি না। স্বামী আত্মানন্দ মহারাজ আমার জীবনের চলার পথ বদলে দিয়েছে। দেশগড়ার স্বপ্ন গুরুজিই আমাকে দেখিয়েছেন। তাই আমি ওনার আদেশে দেশগড়ার কাজ করে চলেছি বলে ব্রিগেডের জনসভায় বলেন মোদি।
এছাড়া বাংলার সংস্কৃতি ও বাংলা কবিতা সম্বন্ধে তাঁর যে শ্রদ্ধা তাও তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদি। লালন ফকির, জয়দেব, কাজি নজরুল, জীবনানন্দ দাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ রাজ্যে গুন্ডাগিরি বেশিদিন চলবে না বলেও নাম না করে মমতার সরকারের সমালোচনা করেন মোদি। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেন, বাংলার সৃষ্টি ও কৃষ্টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না দিল্লির বিজেপি নেতারা। তাই বাঙালী দিল্লির বিজেপি নেতাদের কখনই মানবে না বলে দাবি করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবিকে এদিন কৌশলে ওড়ালেন মোদি। যার জন্য তার বক্তব্যে সবসময় বাংলার কবি, সাহিত্যিক ও মহাপুরুষদের নাম উঠে এল।