ছাত্র সংগঠনের সদস্যাকে ধর্ষণ করেছিল পার্টির নেতা। তাও আবার পার্টি অফিসের ভিতরেই। প্রায় এক বছর পরে শনিবার সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি বাম শাসিত রাজ্য কেরলের পালাক্কড় এলাকার। যে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। সিপিএম পার্টি অফিসের মধ্যেই ছাত্র সংগঠনের এক কর্মীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। সেই ঘটনার জেরে ধর্ষিত মহিলা এক কন্যা সন্তানের জন্মও দিয়েছিলেন। সেই সময়েই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
অভিযোগ, গত বছরের জুন মাসে কলেজের ম্যাগাজিনের জন্য লেখা জোগার করতে পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। সেখানে তাঁকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়। সেই সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে পানীয় খেতে দেয়। এবং সেই পানীয় খাওয়ার পরেই জ্ঞান হারান বছর ২৩-এর যুবতী। সেই সময়েই অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পানীয়তে কিছু মেশানো ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
সেই ঘটনার কারণে যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়েন বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন যুবতী। চলতি মাসের ১৬ তারিখে এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন অভিযগকারী। ওই দিনেই সদ্যজাত কন্যাকে পালাক্কড় পুরসভার অফিসে ফেলে চলে যান তিনি। কিন্তু বিষয়টি গোপন থাকেনি। পুলিশ তদন্তে নেমে মহিলার খোঁজ পেয়ে যায় এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।
জেরায় শাসক সিপিএমের পার্টি অফিসে ধর্ষণের কথা জানায় অভিযোগকারী। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির কথাও পুলিশকে জানান তিনি। সেই ভিত্তিতেই শনিবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পালাক্কড়ের এক বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে কেরল সিপিএম।