বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে এসে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সরাসরি ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের অনুরোধ জানিয়ে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে চিঠি দিল আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)-এর বহরমপুর শাখা। চিকিৎসকদের সংগঠনের দাবি, আইন নিজের হাতে তুলে নিতে সাধারণ মানুষকে উস্কানি দিয়েছেন বিধায়ক। হুমায়ুন যদিও এ সবে কান দেননি। তিনি জানিয়েছেন, এ সবে পাত্তা দিচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার আইএমএর বহরমপুর শাখার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। জেলাশাসকের পাশাপাশি পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ জমা করেন চিকিৎসকেরা। স্মারকলিপি জমা দিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আইএমের সদস্যেরা। আইএমএর বহরমপুর শাখার সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এসপি সম্পূর্ণ রূপে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজুও করা হবে।” তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, ‘‘আন্দোলন করার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। তেমনই মানুষেরও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি জনপ্রতিনিধি। চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ মারা গেলে আমি সরব হব। আর ও সব অভিযোগ নিয়ে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। ডোন্ট কেয়ার।’’
বুধবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে এসে হুমায়ুন সরাসরি চিকিৎসকদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন। প্রশ্ন তোলেন, জনগণের মৃত্যু হলে, চিকিৎসকেরা সুরক্ষিত থাকবেন কেন? হুমায়ুন বলেছিলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা যদি নিজেদের সুরক্ষা এবং নিজেদের স্বার্থ দেখতে থাকেন, তা হলে আমজনতার স্বার্থ দেখার জন্য আমরাও রাস্তায় নামতে বাধ্য হব। আমি হুমায়ুন কবীর এই ক্যারেক্টারের লোক।’’ তিনি বলেছিলেন, ‘‘পাবলিক মরছে, তা হলে ডাক্তারেরা সুরক্ষিত থাকবেন কেন?’’