জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের বাস খাদে পড়ে যায় জঙ্গি হামলায়। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়। এবার সেই হামলার ঘটনায় অন্তত ৫০ জনকে আটক করল পুলিশ। এখনও চলছে তল্লাশি। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ওই হামলার জঙ্গিযোগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ”গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। আর্না ও মাহোরে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” ওই অঞ্চলগুলি ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জঙ্গিদের ‘নন্দনকানন’ বলে পরিচিত ছিল বলে দাবি তাঁর।
রবিবার মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময়েই তীর্থযাত্রীদের বাসে গুলি চালায় জঙ্গিরা। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। কিন্তু এর পরও থামে গুলিবর্ষণ! গুলিতে গুলিতে বাসটিকে ঝাঁজরা করে দিয়ে সমস্ত যাত্রীকে মেরে ফেলাই ছিল উদ্দেশ্য। এই ভয়াবহ হামলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৪৩।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের নিশানায় পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। বুধবারই রাহুল গান্ধী এই ধরনের লাগাতার হামলা নিয়ে মোদিকে খোঁচা দেন। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী এখন শুভেচ্ছাবার্তার জবাব দিতে ব্যস্ত। তাই জঙ্গি হামলায় স্বজনহারাদের কান্না তাঁর কানে পৌঁছবে না। কেবল রাহুল নন, কংগ্রেসের একাধিক নেতাও কাশ্মীরের ঘটনা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন। পবন খেরার সাফ প্রশ্ন, নতুন কাশ্মীরের ডাক দিয়েছিলেন মোদি। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি যে আসলে ভুয়ো, সেটাই এখন বুঝিয়ে দিচ্ছে কাশ্মীর।
এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠক করেন মোদি (PM Modi)। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহার সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শোনা গিয়েছে, কাশ্মীরে সন্ত্রাস রুখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে জানা গেল, ৫০ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে, ৪ জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ করেছে কাশ্মীর পুলিশ। সন্ধান দিলে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুরস্কারের ঘোষণাও করা হয়েছে।