গত অক্টোবরে ইনফোসিসের দফতরে একটি বেনামি চিঠি আসে। তাতে অভিযোগ করা হয়েছিল, চিফ এক্সিকিউটিভ সলিল পারেখ অনুমোদন ছাড়াই বড় ডিল করতে কর্মীদের উৎসাহ দেন। চিঠিটি কে বা কারা লিখেছিল জানা যায়নি। চিঠিতে বলা হয়েছিল, কোম্পানির কয়েকজন কর্মীই নাম গোপন রেখে ওই অভিযোগ করছেন।
অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরে ইনফোসিসের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। কিন্তু বুধবার সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, নাম গোপন রেখে কয়েকজন আমাদের সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে সোমবার ইনফোসিস বলেছিল, তাদের এক কর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তার পক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে ইনফোসিসের চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি বিবৃতি দিয়ে বলেন, “আমাদের সংস্থার কয়েকজন প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে যে ধরনের জল্পনা-কল্পনা চলছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁদের ভাবমুর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। তাঁরা প্রত্যেকেই সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁরা সারা জীবন আমাদের সংস্থার স্বার্থে কাজ করে গিয়েছেন। আমি তাঁদের সম্মান করি।”
ইনফোসিস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে আমাদের সংস্থার অডিট কমিটি একটি বাইরের ল ফার্মকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছিল। সেই তদন্তে কী পাওয়া গিয়েছে, সবই আমরা সময়মতো অংশীদারদের জানাব।
অভিযোগ ওঠার পরে গত ২২ অক্টোবর ইনফোসিসের শেয়ারের দাম ১৭ শতাংশ কমে যায়। গত ছয় বছরে কখনও একইদিনে সংস্থার শেয়ারের দাম অত কমেনি। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের ৫৩ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়। বুধবার দিনের শুরুতে ইনফোসিসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১.৫ শতাংশ।