যাত্রীরা এত দিন অভিযোগ করছিলেন, মেট্রো পরিষেবায় সমস্যা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে নয়, দেরিতে চলছে মেট্রো। সমস্যা যে রয়েছে, মঙ্গলবার সে কথা মেনে নিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষও। দ্রুত ওই সমস্যার সমাধান করে মেট্রো সময়ে চালানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে যাত্রীদুর্ভোগ এড়াতে কয়েকটি পদক্ষেপের কথাও জানানো হয়েছে।
মেট্রো দেরিতে চলার কারণে যাত্রীদুর্ভোগের খবর আনন্দবাজার অনলাইনে একাধিক বার প্রকাশ পেতেই নড়েচড়ে বসেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, কন্ট্রোল রুম থেকে মেট্রো চলাচল পর্যবেক্ষণ করে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মঙ্গলবার মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, কন্ট্রোল থেকে মেট্রো চলাচল পর্যবেক্ষণের পর সমস্যার বিষয়টি ধরা পড়েছে। মূলত দু’টি কারণে মেট্রো দেরিতে চলছে বলে তাঁর দাবি। এক, শহিদ ক্ষুদিরাম এবং কবি সুভাষে স্টেশনের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে। তাই ওই দুই স্টেশনের মধ্যে মেট্রোর গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফলে মেট্রো দেরিতে চলছে ওই অংশে। তার জের গিয়ে পড়ছে অন্যান্য স্টেশনেও। দুই, একটি ট্রেন স্টেশনে দেরিতে ঢোকার ফলে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায়। ফলে মেট্রোয় ওঠার পর দরজা খোলা-বন্ধ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার জেরে আরও দেরি হয়ে যাচ্ছে মেট্রো চলাচলে।
তবে কৌশিক দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামলাতে কয়েকটি পদক্ষেপ করবেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সমস্যার কথা শোনার পরে কৌশিক সোমবার বলেছিলেন, ‘‘আনন্দবাজার অনলাইন লাগাতার এ নিয়ে খবর করছে দেখছি। আমি তাই মঙ্গলবার নিজেই কন্ট্রোলে যাব। কেন এমন হচ্ছে এবং কী ভাবে সমাধান সম্ভব, সেটা ভাল করে খতিয়ে দেখতে হবে।’’ মঙ্গলবার কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর তিনি বলেছেন, ‘‘সমস্যা একটা আছে। আমরা দ্রুত তা মেটানোর চেষ্টা করছি, যাত্রীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তা খতিয়ে দেখতে মেট্রো তৎপর।’’
কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? কৌশিক জানিয়েছেন, ট্রেন দেরিতে এলে ‘ডিসপ্লে বোর্ডে’ যাতে সময় পাল্টে না যায়, সে ব্যবস্থার চেষ্টা করা হবে। একই সঙ্গে ট্রেন যদি দেরিতে আসে, সে ক্ষেত্রে ‘পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম’-এ ঘোষণা করা হবে। কৌশিকের কথায়, ‘‘যদি মেট্রো দেরি করে, তা হলে স্টেশনে স্টেশনে সে কথা ঘোষণা করা হবে।’’