আন্দাজ করেছিলেন আগেই। তাই গ্রেফতারের আগে সমর্খকদের উদ্দেশ্যে এক ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন ইমরান খান। সেই বার্তায় তিনি বলেন, এই বার্তা যখন আপনাদের কাছে পৌঁছাবে তখন হয়তো আমাকে ভুয়ো মামলায় গ্রেফতার করা হবে। এর থেকে একটি জিনিস আপনাদের শিখে নেওয়া উচিত যে পাকিস্তানে মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। এরপর হয়তো আপানাদের সঙ্গে আর দেখা হবে না। তাই কয়েকটি কথা বলে যেতে চাই। পাকিস্তানের মানুষ আমাকে গত ৫০ বছর ধরে জানে। কখনও আইনের বিরুদ্ধে যাইনি। যতদিন রাজনীতিতে এসেছি ততদিন যা আন্দোলন করেছি তা আইনের আওতায় থেকেই করেছি।
অন্যদিকে, ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা আগে ইমরান বলেন, অভিযোগ উঠছে আইএসপিআর-এ অপমান করেছি। সেনার অপমান করেছি। এক গোয়েন্দা কর্তার নামে অভিযোগ করেছি। দেখুন সম্মান সবারই আছে। দেশের প্রতিটি মানুষের আছে। এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম বৃহত্তম পার্টির প্রধান, ৫০ বছর দেশের সেবা করেছি। কোনও মিথ্যে বলার প্রয়োজন নেই। যে গোয়েন্দা কর্তার কথা বলা হচ্ছে সে আমাকে দুবার খুন করার পরিকল্পনা করেছে। সবাই জেনন তিনি কে? আমি এফআইআর পর্যন্ত করতে পারিনি। একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হয়েও ওই গোয়েন্দা কর্তার নামে এফআইআর করতে পারিনি। এইসবের পেছনে রয়েছে আইএসআই। আমি প্রমাণ করে দেব। রয়েছেন এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।
রনো একটি মামলায় হাজিয়া দিতে গিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে গ্রেফতার হন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি সংবাদমাধ্য়মে বলেন, আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দেওয়ার পর ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে পাক রেঞ্জাররা। তাকে মারধার করা হয়েছে। মার খেয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তাঁকে জোর করে বের করে নিয়ে গাড়িতে তুলে নেয় রেঞ্জাররা।
কী আল কাদির ট্রাস্ট মামলা? বাহারিয়া টাউনে আল কাদির রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে ইমারনের আমলে ৫৩০ মিলিয়ন রুপি দেওয়া হয়। সেই কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলেন পিটিআই চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী। বিষয়টি জানিয়েছে ইসলামাবাদ পুলিসও। পুলিসের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইমারান খানকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ইমরান খানকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।