গ্রুপ ডি মামলায় অর্থ দফতরকে যুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের, ফের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি।

সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থাগিতাদেশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলায় এবার রাজ্যের অর্থ দফতরকে যুক্ত করার নির্দেশ দিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ২০১৯ সালে প্যানেল বাতিল হওয়ার পর যাঁদের অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে, এমনকী যাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদেরও বেতন বন্ধ করতে বলা হল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC-কে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। সেবার রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণি বা গ্রুপ ডি পদে ১৩ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়। সেই প্যানেলের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১৯ সালে। কিন্তু তারপরেও বহু কর্মপ্রার্থী চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। কীভাবে এই নিয়োগ হল? স্রেফ অনুসন্ধান করাই নয়, ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্চ জানিয়ে আবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। 

তাহলে ফের কেন সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি? হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘সিবিআই অনুসন্ধানের উপর স্থগিতাদেশ জারি করলেও, মূল মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। সেকারণেই মামলাটি শুনলেন’। এর আগে গত ১৭ মে যখন শুনানি হয়েছিল, তখন বিভিন্ন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণি বা গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এতদিন ধরে তাঁদের কেন বেতন দেওয়া হচ্ছিল? এদিন শুনানিতে রাজ্যের অর্থ দফতরকেও মামলায় যুক্ত করার আর্জি জানান মামলাকারী। সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। 

এদিকে গ্রুপ ডি পদে আরও ৫৪২ জনের নিয়োগ নথি সংক্রান্ত আদালতে জমা দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, ওই ৫৪২ জনের মধ্যে প্যানেল বাতিল হওয়ার যাঁদের অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে এবং যাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদেরও বেতন বন্ধ করে দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ডিসেম্বর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.