কলকাতা পুরসভা এলাকাতে শিশুদের মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা হুহু করে হ্রাস পাচ্ছে । হিন্দুরা খুব দ্রুত ভাবে কমচে ও এভাবে চললে 20-25 বছর পর ঘোর দুক্ষ আছে কপালে । আমি কলকাতা শহরের 101-106 নম্বর ওয়ার্ড যা যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ও 136-141 নম্বর ওয়ার্ড যা মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্র এ পড়ে এদের মধ্যে তুলনা করেছি । প্রথম ছটি ওয়ার্ড হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রায় 97-98% হিন্দু ও শেষ ছটি ওয়ার্ড শান্তি অধ্যুষিত প্রায় 85-90% মুসলমান থাকে ওই অঞ্চলে ।
প্রথম ছটি ওয়ার্ড এর মোট জনসংখ্যা 1,82,209 জন যার মধ্যে 11,125 জন বা 6.11%0-6 বয়সের শিশু ।উল্টো দিকে শেষ ছটি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা 1,83,395 জন যার মধ্যে 22,439 জন বা 12.23 % 0-6 বয়সের শিশু । সংখ্যা দেখেই পরিস্কার বাঙালি হিন্দু এলাকার থেকে মুসলমান এলাকাতে দ্বিগুণ জন্মহার । বাঙালি হিন্দু প্রায় সক্কলেই এক বাচ্চা নিচ্ছে বস্তি বাদ দিয়ে ।
বড় অংশই শহর ছেড়ে জীবিকার জন্যে অন্য মেট্রো শহর বা বিদেশ চলে যাচ্ছে মূলত বস্তির লোক আর শহরতলিতে ফ্ল্যাট কেনা জেলা ও ওপার থেকে আসা হিন্দুরা হিন্দু জনবিন্যাস ধরে রেখেছে । বছর কুড়ি পর শহরতলি তে ফাকা জমি,পুরাতন বাড়ী বিশেষ অবশিষ্ট থাকবে না প্রায় সব ফ্ল্যাট হয়ে যাবে তখন কি হবে ???
কলকাতা পুরসভা এলাকা তে 11সেন্সাসে মুসলমান সংখ্যা 20.60% কিন্তু 0-9 বয়সী দের মধ্যে এটা 29.34% । 141টি ওয়ার্ড এর প্রায় 30খানা মত কম বেশি মুসলমান অধ্যুষিত ও বাকি গুলি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ 2011 র হিসাবে । 2015ভোটে 144 ওয়ার্ড এর 22টি তে শান্তি কাউন্সিলর যা মোট 15% এর মত । কিন্তু এসব ওয়ার্ডে হুহু করে মুসলমান বাড়ছে হিন্দুদের তুলনায় অনেক বেশি জন্মহার এর কারনে । বেশ কিছু ওয়ার্ডে শান্তি থাকলেও হিন্দু জনপ্রতিনিধি আছে হিন্দু ভোটের জন্য ।
প্রথম ছ টি ওয়ার্ডে আন্দাজ মত 2%মুসলমান ও শেষ ছটি তে 90% মুসলমান ধরলাম 0-6এর শিশুদের মধ্যে ।বারো ওয়ার্ড এর গড় করলে 61%মত শিশু শান্তি 20,417 জন 33,564জনের মধ্যে । কলকাতা তে অধিকাংশ ওয়ার্ড প্রায় 80% হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ না হয়ে সংখ্যা 50-50হলে কপালে দুক্ষ ছিল ।
2011এর হিসাবেই যদি ধরি সন্তান জন্মে সক্ষম দম্পতির মধ্যে 27-28%মুসলমান ও 72-73%হিন্দু (অল্প বয়সী জনসংখ্যার আন্দাজে ) ।এবার 27 দম্পতি যদি দুই বাচ্চা নেয় খুব সুশীল হিসাবেই (অনেকেই তিন চার নেয়) গড়ে বাকি 73 দম্পতি এক বাচ্চা নেয় পরের প্রজন্ম এর জন সংখ্যা হচ্ছে 127, 200থেকে কমে (খুব সুশীল হিসাব )।
ব্যাপার টা আল্হাদ জনক হলেও উন্নয়ন এর দিক থেকে পরের প্রজন্মে শান্তিদের হার দাড়াবে 42.5%(54/127=42.5) । এরপর এর প্রজন্মে 45%দম্পতি মুসলমান ও 55%হিন্দু ধরলাম ।এই জন্মহার রিপিট হলেই 55শিশু হিন্দু,90 মুসলমান । হিন্দুরা পরিস্কার সংখ্যালঘু ।
ইতিমধ্যেই কলকাতা তে হিন্দু অধ্যুষিত তিন কেন্দ্র ভবানীপুর, জোড়াসাকো ও শ্যাম পুকুরে 2011-16 র মধ্যে ভোটার কমেচে 3.4,4.27 ও 7.97 % । প্রবল ভাবে মুসলমান অধ্যুষিত বন্দর ও মেটেবুরুজে ভোটার বেড়েছে 9.26ও 22.75% । এছাড়া ও মুসলমান ভোটের উপর মোটামুটি নির্ভরশীল এন্টালি, বেলেঘাটা তে 6.37ও 8.54% ভোটার বেড়েছে । এন্টালি লাগোয়া বালিগঞ্জে যার মধ্যে বেক বাগান
পার্ক সার্কাস এর কিছু অংশ,মল্লিক বাজার পড়ে 9.66% ভোটার বেড়েছে তার পাশেই হিন্দু অধ্যুষিত রাসবিহারী তে মাত্র 2%।
অবাঙালি হিন্দুদের জনমহার বিশাল এই তত্ত্ব ও পুরোপুরি বাস্তব না । অবাঙালি অধ্যুষিত মানিক তলা তে ভোটার বেড়েছে 2%,অন্যদিকে মাঝারি মুসলমান জনসংখ্যা থাকা কাশিপুর বেলগাছিয়া তে বেড়েছে 5%। কসবা কেন্দ্রে যার মধ্যে 66নম্বর ওয়ার্ড পরে যেই ওয়ার্ডে প্রায় 98হাজার মানুষ থাকে ও তিলজলা,তপসিয়া জুড়ে আছে,সাথে 67 নম্বর ওয়ার্ড এও বেশ কিছু মুসলমান আছে । এই কেন্দ্রে 18.79% ভোটার বেড়েছে 11-16তে অথচ পাশের প্রায় একি জনসংখ্যার যাদবপুরে এই বৃদ্ধি 7.82% মাত্র ।
এখনও সময় আছে ভাবতে শিখুন,ভাবুন কোন শহর রেখে যাচ্ছেন আমাদের জন্য চরম ব্যাক্তি স্বাধীনতার জীবন কাটাতে গিয়ে কি ভাবে নিজের শহরটা কে নিজেরাই হাতছাড়া করছেন ।
গৌড়েশ্বর বল্লাল সেন