ঘূর্ণিঝড় ফণীর সময় সতর্কতার জন্য স্কুলে ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীদের জন্য গরমের ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। মঙ্গলবার শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এক ধাক্কায় সেই ছুটি কমতে পারে প্রায় তিন সপ্তাহ। স্কুল খুলতে পারে ১০ জুন।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, “এত দিন ছুটি আদৌ প্রয়োজন কি না তা সচিবদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের সঙ্গেও কথা বলছি।” শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীও আমাকে পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছেন।”
গত ২ মে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফণীর সঙ্গেই গরমের ছুটি জুড়ে দেওয়া হয়। প্রথমে ফণীর ছুটিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের যাওয়া বাধ্যতামূলক কি না বিজ্ঞপ্তিতে তা স্পষ্ট না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়। পরে অবশ্য নবান্ন তা স্পষ্ট করে। কিন্তু ছাত্রছত্রীদের জন্য ছুটি দেওয়া হয় ৩০ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রায় দু’মাস। এর আগেও গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে রাজ্যে। কিন্তু কখনই তা এই পর্যায়ে যায়নি।
দু’একদিনের মধ্যেই শিক্ষা দফতরের সচিব্দের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরাও এই ছুটি বাড়ানো নিয়ে তাঁর কাছে বার্তা পাঠিয়েছে।